মালয়েশিয়া থেকেঃ মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে সর্বত্র চলছে অভিযান। বাসা, অফিস, কারখানা, মার্কেটে এমনকি বন-জঙ্গলেও চলছে ধর-পাকড়। গত এক সপ্তাহের সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশিসহ সহস্রাধিক গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেলেও এদের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে শনিবার (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্লাজা লয়েট, টাইমস স্কয়ার চৌকিত, চায়না টাউন, কোতারায়া, সেলায়াং পাসার, ক্লাং, ক্লাংলামা, শাহ আলম, পেনাং, মালাক্কা, জহুর বারু, ইপু পেরাগ, কাম্পুং বারুর জালান রাজা আলাং ও পুরাতন ক্লাং রোডের ফুডকোর্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সূত্র জানায়, মালেয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট-১৯৫৯ সেকশন ৬ (১)(সি) ভঙের দায়ে বাংলাদেশিসহ সহস্রাধিক এসব অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
কুয়ালালামপুর নগর পুলিশের উপ-প্রধান দাতুক আবদুল হামিদ মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ইমিগ্রেশনের অপারেশন টিম-২, জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগ এবং রেলার সিভিল ডিফেন্সসহ সর্বমোট ১২০ সদস্যের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অংশ নেয়। এ অভিযান আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাংলাদেশি এ প্রতিবেদককে বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই চলছে ধরপাকড় ও পুলিশের হয়রানি। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া রি-হেয়ারিংয়ের কার্যক্রম চলছে ধীরে চলো নীতিতে। এরপরও ভিসা নবায়ন করছে না কোম্পানিগুলো। এমতাবস্থায় লাখ লাখ শ্রমিক অবৈধ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে সরকারি-বেসরকারি হিসেবে মালয়েশিয়ায় ২০ লাখেরও বেশি বিদেশি কর্মী বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, দেশটিতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ার, ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ নেপালের, ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বাংলাদেশের, ৬ দশমিক ৯ শতাংশ মিয়ানমারের, ৫ দশমিক ১ শতাংশ ভারতের, ৩ দশমিক ১ শতাংশ ফিলিপাইনের, ২ দশমিক ৫ শতাংশ পাকিস্তানের, শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থাইল্যান্ডের এবং ৪ শতাংশ শ্রমিক অন্যান্য দেশের।